চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু

চুয়াডাঙ্গার রেলবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকে কেন্দ্র করে শহরে সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে দোকান মালিক সমিতি। আজ রোববার বিকেলে শহীদ হাসান চত্বরে এক সমাবেশ থেকে দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার এই ঘোষণা দেন।
আকস্মিক দোকান বন্ধের ঘোষণায় দুর্ভোগে পড়েছেন মার্কেটে আসা ক্রেতারা।
ইবরুল হাসান বলেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হক জোয়ার্দ্দার লেমনকে লাঞ্ছিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দিন। এর প্রতিবাদে ও পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবিতে এই ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রেলবাজারের বিশ্বাস স্টোরের মালিক আলা উদ্দিন ও নিউ বিশ্বাস স্টোরের মালিক সালাউদ্দিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা পরিশোধও করে দেন ওই দুই ব্যবসায়ী। জেলার বিচারিক হাকিম ফখরুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন বিএসটিআইয়ের খুলনার পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তা চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটি অংশ গাড়ির সামনে টেবিল দিয়ে অবরোধ করে। খবর পেয়ে সদর থানা থেকে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে যায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাবিতে অনঢ় থাকায় খবর পেয়ে সেখানে যান পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি সেখানে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতির সঙ্গে পুলিশ সুপারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম রনি ও সেলিম হোসেনকে আটক করে থানায় নেয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ঘটনাস্থলে যান। পরে দোকান মালিক সমিতির নেতারা পুলিশ সুপারের সঙ্গে থানায় বসে বৈঠক করেন। পরে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
থানা থেকে বেরিয়ে দোকান মালিক সমিতি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে। বৈঠকের পর শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশ করে। ওই সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ব্যবসায়ীরা এ সময় শহরে মিছিল বের করলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে, এই কর্মসূচির সমর্থনে শহরের মাইকিং করা হয়।