কোকেন রহস্য উদ্ঘাটনে ১০ সদস্যের কমিটি
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সূর্যমুখী তেলের সঙ্গে পাওয়া তরল কোকেনের বিষয়ে তদন্ত এবং গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপকমিশনার কুসুম দেওয়ানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানভীর আরাফাত, পাঁচজন সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী, জাহাঙ্গীর আলম, কামরুজ্জামান, মাইনুদ্দিন ও ফয়জুল ইসলাম এবং পাঁচজন উপপরিদর্শক।
কমিটি প্রধান কুসুম দেওয়ান বলেন, কমিটি প্রধানত এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সেই সঙ্গে এ কোকেন চোরাচালানের সঙ্গে কোনো আন্তমহাদেশীয় চক্র জড়িত কি না, সে বিষয়টিও ক্ষতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
গত ৮ জুন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠান বলিভিয়া থেকে ভোজ্য তেলের একটি কনটেইনার আমদানি করে। কনটেইনারের ১০৭টি ড্রামে দুই হাজার ১৪০ কেজি ভোজ্য তেল আমদানির ঘোষণা রয়েছে। আর এতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম রয়েছে ‘খান জাহান আলী লিমিটেড’। এসব ড্রামে তরল কোকেন রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৬ জুন বন্দরের চিটাগং কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) তিন নম্বর ইয়ার্ডে জব্দ করা হয় কনটেইনারের এসব ড্রাম।
গত ৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর, সিএমপি পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও শুল্ক গোয়ন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কনটেইনারটি খোলা হয়। পরে সানফ্লাওয়ারের এ তেলের নমুনা পরীক্ষায় একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ২৮ জুন বন্দর পুলিশ খান জাহান আলীর স্বত্বাধিকারী নূর মোহাম্মদ ও তাঁর কর্মচারী সোহেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এর পরপরই সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
এরপর ৩০ জুন তিনজনকে চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শুল্ক গোয়ন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মণ্ডল গ্রুপ নামের একটি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ম্যানেজার এ কে আজাদ ও একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল। পরে এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে নেয় শুল্ক গোয়েন্দা পুলিশ।