সন্ত্রাস খুন অনেক কম : প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

সন্ত্রাস, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, অপহরণ, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা আগের চেয়ে এখন অনেক কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেলে পল্লী বিদ্যুতের নতুন গ্রাহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন ও গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
মানুষ হরতাল-অবরোধ-ভাঙচুর, আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরে হত্যার মতো লোমহর্ষক কাজ পছন্দ করে না উল্লেখ করে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মানুষ শান্তি চায়। সন্ত্রাস, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, অপহরণ, ছিনতাইয়ের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। ভবিষ্যতে সন্ত্রাস কী জিনিস মানুষ তা দেখবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে এসব নির্মূল করা সম্ভব নয়। সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই সমাজ থেকে চিরতরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূল হয়ে যাবে।’
মন্ত্রী গুজব না ছড়িয়ে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্রশাসনের কাছে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিগত দিনের তুলনায় ফরিদপুরের মানুষ এখন অনেক ভালো আছে, শান্তিতে আছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললেই সমাজের সব বিশৃঙ্খলা নির্মূল করা সম্ভব। কারণ কোনো ধর্মই মন্দ ও খারাপ কিছু প্রশ্রয় দেয় না। সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্য দিয়ে সমাজ পরিচালিত হলে সেই সমাজে কখনোই অশান্তি দেখা দিতে পারে না। মানুষ যখন সব জায়গায় ব্যর্থ বা নিরাশ হয়ে ফিরে আসে, তখন ধর্মের কাছে শেষ আশ্রয় খোঁজে। তবে ধর্মীয় গোড়ামি আবার ভালো নয়। ধর্মের নামে রাজনীতি কিংবা ব্যবসা করা মোটেও উচিত নয়। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার- গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি সবাইকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। তবেই সমাজে ধর্ম নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হবে না।’
‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। ধর্ম নিয়ে হানাহানির সুযোগ পায় না সুযোগ সন্ধানীরা।’ বলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী।
মন্ত্রী ফরিদপুরকে মাদকমুক্ত করতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, পুলিশ সুপার জামিল হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, মাইনুদ্দিন আহমেদ মানু, নাজমুল হাসান খন্দকার লেবি, শওকত আলী জাহিদ, সাজ্জাদ হোসেন বরকত, আবু নাঈম, সোহেল রেজা বিপ্লব, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।