সাবেক বনদস্যুদের ঈদ উপহার দিল র্যাব

একসময় তাঁদের একটাই পরিচয় ছিল; বনদস্যু। নামের আগেই জুড়ে গিয়েছিল বনদস্যু উপাধি। ভালো চোখে কেউই দেখত না। এখন এঁদের কেউ গাড়ি চালান, কেউ বা মাছ চাষ করেন। সবাই ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। আর তাঁদের ঈদকে সুন্দর করতে র্যাব তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছে উপহার।
আজ বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দরের বিএফডিসি জেটিতে দস্যুতা ছেড়ে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সাতটি বাহিনীর ৮৪ জন ব্যক্তির হাতে এ শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন র্যাব ৮-এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. জামান।
এ সময় র্যাব কর্মকর্তা জামান বলেন, ‘শুভেচ্ছা উপহারের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি ও মসলা। র্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণকারী বনদস্যু মাস্টার বাহিনী, জাহাঙ্গীর বাহিনী, নোয়া বাহিনী, শান্ত বাহিনী, কবিরাজ বাহিনী, খোকা বাবু বাহিনী ও আল আমিন বাহিনীর ৮৪ জন দস্যুদের মধ্যে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করা হয়েছে। যেহেতু তারা আগে ডাকাত ছিল, ডাকাতি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এখন কাজ-কর্ম করছে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। তারা যাতে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে ঈদ করতে পারে সে জন্যই তাদের এই উপহার দেওয়া হয়েছে। এসব দস্যুরা আত্মসমর্পণ করার পর থেকে তাঁদের প্রতি আমরা সার্বক্ষণিক লক্ষ রাখছি।’
র্যাব ৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মোংলা ছাড়াও সাতক্ষীরার মুন্সীগঞ্জ এবং শ্যামনগরে আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের মধ্যেও শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করা হয়েছে।’
আত্মসমর্পণকারী মাস্টার বাহিনীর প্রধান কাদের মাস্টার বলেন, ‘আমি আমার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আত্মসমর্পণের পর নিজ নিজ এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। কেউ গাড়ি চালাচ্ছেন, কেউ মুরগির খামারসহ গবাদি পশু ও মাছের চাষ করছেন। এ ছাড়া র্যাব ৮-এর স্যারেরা সার্বক্ষণিক আমাদের খোঁজখবর রাখছেন। আমাদের ঈদের উপহারসামগ্রী দিয়েছেন। এতে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খুশি।’
গত বছরের ২৯ জুন মোংলা বন্দরের বিএফডিসি জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে অস্ত্র-গোলাবারুদ তুলে দিয়ে সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণ করে সুন্দরবনের মাস্টার বাহিনী। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ১১টি দস্যু বাহিনী র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।