নাগরিকত্ব নির্ধারণে ছিটমহলে জরিপ শুরু
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/06/photo-1436166918.jpg)
বাংলাদেশ-ভারতের ১৬২টি ছিটমহলে একযোগে শুরু হয়েছে যৌথ সমীক্ষার কাজ। আজ সোমবার শুরু হওয়া এই সমীক্ষায় রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলায় ১২টি ও পঞ্চগড়ের ৩৬টি ছিটমহল। ছিটমহলবাসীর নাগরিকত্ব নির্ধারণ এবং জনগণনা হালনাগাদের এ কার্যক্রম চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত।
আজ সকাল ৯টায় ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন। এ ছাড়া পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা মুনতাজেরী দীনা জেলার গাড়াতি ছিটমহলে আনুষ্ঠানিকভাবে জনগণনা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এদিকে, বাংলাদেশের ভেতরে অবস্থিত ভারতের সবচেয়ে বড় ছিটমহল দাসিয়ারছড়াসহ কুড়িগ্রামের ১২টি ছিটমহলে যৌথভাবে দুদেশের ১০টি সমীক্ষা দল কাজ শুরু করছে। প্রতিটি দলে ভারতের ১১ জন ও বাংলাদেশের ৯ জন সদস্য কাজ করছেন।
এ ছাড়া পঞ্চগড় জেলার ৩৬টি ছিটমহলে জনগণনা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার মোট ৩৬টি ছিটমহলে এ জনগণনা শুরু হয়।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩৬টি ছিটমহলে ১৮টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় সাতটি ছিটমহলে তিনটি, বোদা উপজেলায় ২৩টি ছিটমহলে ছয়টি ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় ছয়টি ছিটমহলে রয়েছে নয়টি ক্যাম্প।
জনগণনায় অংশ নিতে পঞ্চগড় জেলার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পঞ্চগড়ে এসেছে।
পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার নয়টি ক্যাম্পে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সুপারভাইজার শ্যামল কুমার দে ও দুর্গা প্রসাদ শর্মার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এবং দেবীগঞ্জ উপজেলার নয়টি ক্যাম্পে সুপারভাইজার জয়ন্ত কুমার ও কৌশিক মল্লিকের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের দুটি প্রতিনিধিদল জনগণনায় অংশ নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী এ সমীক্ষা কাজের মধ্যে নির্ধারণ হবে কে কোন দেশের নাগরিক হতে চায়। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ পাবে ছিটবাসী।
এ ছাড়া নাগরিকত্ব নির্ধারণ ও হেড কাউন্টিং হালনাগাদ নির্বিঘ্নে করার পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতা এড়াতে গত ২২ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছিটমহলের জমি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখাসহ সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো বিজ্ঞপ্তি আকারে ছিটমহবাসীকে জানানো হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের এবং ৫১টি ছিটমহল ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে।