দেশের ৯৯ শতাংশ জনগণ স্যানিটেশনের আওতায় : এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে।
আজ মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. আনোয়ারুল আজীমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, এই ৯৯ শতাংশ জনগণের মধ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ উন্নত ল্যাট্রিন, ২৮ শতাংশ জনগণ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ শতাংশ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৭ শতাংশ জনগণ নিরাপদ পানির সুবিধার আওতাভুক্ত। ১৩ শতাংশ জনগণ দূরবর্তী অন্যান্য নিরাপদ পানির উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের আরেক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, সুপেয় পানি ও কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অধিক হারে নির্ভরশীলতার কারণে এরই মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। এর ফলে শুস্ক মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৮০৯টি পুকুর পুনঃখনন করা হবে। এ ছাড়া পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ১৪৩টি পুকুর পুনঃখনন ও ২০০টি পুকুর নতুনভাবে খনন করা হবে। এ সব পুকুর পুনঃখনন করে পানি পন্ড স্যান্ড ফিল্টার পদ্ধতিতে সরবরাহের মাধ্যমে সব জেলায় ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভূ-উপরস্থ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।
সরকারি দলের সদস্য মো. আব্দুল মতিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৭ ভাগ জনগণ বিশুদ্ধ পানির সুবিধার আওতাভুক্ত। বাকি ১৩ ভাগ জনগণ দূরবর্তী অন্যান্য নিরাপদ পানির উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় চারটি গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকল্পগুলোর আওতায় প্রায় এক লাখ পানির উৎস স্থাপন করা হবে।