পশুর চ্যানেলের নৌপথ খননের কাজ করবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান

রামপাল তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা পরিবহনের জন্য মোংলা বন্দর থেকে রামপাল পর্যন্ত পশুর চ্যানেলের প্রায় ১৩ কিলোমিটার নৌপথ খননের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে ভারতের ‘ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেস ত্রিপতি এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসানের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা, ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের নিয়োগ করা স্থানীয় শিপিং এজেন্ট সিগমা শিপিং লাইনসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ১১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড আগামী আগস্ট মাসে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে এ ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করবে। ২০১৮ সালের ডিসম্বরের মধ্যে ১৩ কিলোমিটার নৌপথ খনন কাজ সম্পন্ন করার কথা আছে।
জানা যায়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও মোংলা বন্দরের বাস্তবায়নে ‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎকেন্দ্রের আমদানি করা কয়লা নৌপথে পরিবহন সহজ করার জন্য পশুর চ্যানেলের নিরাপদ নাব্যতা বৃদ্ধিতে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, ‘মোংলা বন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দীর্ঘ প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার চ্যানেলের নাব্যতা রক্ষা করা। এ নাব্যতা রক্ষার জন্যই মূলত ভারতের ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে আমাদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোংলা বন্দর থেকে উত্তর দিকে রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট পর্যন্ত পশুর চ্যানেলের ১৩ কিলোমিটার নৌপথে খননের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ মিটার গভীরতা সৃষ্টি করা হবে। শুধু এ ১৩ কিলোমিটার নয় পুরো চ্যানেলে জুড়েই আমাদের নিরাপদ নাব্যতা রক্ষা করতে হবে। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে সাড়ে আট মিটার এবং পরবর্তীতে ১০ মিটার পর্যন্ত নাব্যতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে আগামীতে আরো বড় বড় জাহাজ এ বন্দরে ভিড়বে এবং আয়ও অনেক বেশি বেড়ে যাবে।’