বনানীর হোটেলে ধর্ষণের মামলায় রুদ্ধদ্বার সাক্ষ্য দেবেন ছাত্রী

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রুদ্ধদ্বার কক্ষে সাক্ষ্য দেবেন মামলার বাদী। আগামী ৬ আগস্ট এই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার সকালে রুদ্ধদ্বার কক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজমের আদালতে আবেদন করেন বাদী। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আলী আকবর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘আজ পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বাদী রুদ্ধদ্বার কক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।’
গত ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি।
অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন।
অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা।
বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।
ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।