বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/07/24/photo-1500906346.jpg)
টানা ও ভারি বর্ষণে বান্দরবানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেড়েছে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানিও। বৃষ্টিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দুদিন ধরে বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙামাটি জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে।
বান্দরবানে আজ সোমবারও ভারি বর্ষণ অব্যাহত আছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার থেকে বান্দরবানে ভারি বর্ষণ চলছে। বৃষ্টিতে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া থেকে বাইতুল ইজ্জত পর্যন্ত একাধিক স্থানে সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের পুলপাড়া বেইলি সেতু পানিতে ডুবে গেছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দুদিন ধরে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। অনেকে নৌকা, রিকশা এবং ভ্যানগাড়িতে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পার হচ্ছে তলিয়ে যাওয়া সড়কপথ। স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন, জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘ভোগান্তির যেন শেষ নেই। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মাঝখানের পথটি পার হতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। বান্দরবান থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া ১১০ টাকা, কিন্তু ছোট্ট এ পথটি পার হতেই ক্ষেত্র বিশেষে লাগছে তাঁর চেয়ে দ্বিগুণ টাকা।
পরিবহন শ্রমিক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কে পানি ওঠায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, কেরানীহাট সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। তবে ঢাকার গাড়িগুলো পানির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সকালেও ঢাকার গাড়িগুলো বান্দরবান এসেছে।
এদিকে বৃষ্টিতে বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতীরবর্তী অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বান্দরবান শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, শেরেবাংলা নগর এবং লামা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বান্দরবানের মৃত্তিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, কয়েকদিন ধরে বান্দরবানে অবিরাম ভারি বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং রাঙামাটি দুটি পথেই সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্র এবং নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।