বদলি হচ্ছেন বরিশালের সেই বিচারক

বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারিক সালমনকে হাজতে পাঠানোর ঘটনায় বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনকে বদলি করা হচ্ছে।
এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বরগুনার ইউএনও তারিক সালমনের ঘটনায় বিচারক মোহাম্মদ আলীর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে তাঁকে বদলি করা হচ্ছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখা ৩-এর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিভি অনলাইনকে জানান, ইউএনওর ঘটনায় ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সংগঠন দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নিয়ম অনুযায়ী বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। তাঁর বদলির প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির অভিযোগে সম্প্রতি বরগুনার ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) ওবায়েদুল্লাহ সাজু। সেই মামলায় ১৯ জুলাই সকালে ইউএনও তারিক সালমনের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বরিশালের একটি আদালত। পরে ওই দিন দুপুরেই আবার তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। ইউএনওর এই ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
ইউএনওকে হাতকড়া পরিয়ে টেনেহিঁচড়ে আদালত থেকে হাজতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গত ২২ জুলাই আদালতে দায়িত্ব পালন করা ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়।
গত রোববার ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। মামলার বাদী ওবায়েদুল্লাহ সাজু আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।