সামনে অস্ত্র আসার মৌসুম, ঠেকাতে হবে : বিজিবি মহাপরিচালক

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। অস্ত্র আসার মৌসুম। মৌসুম এই কারণে যে কোনো নির্বাচন হলে সন্ত্রাসীরা অনেক রকম প্রস্তুতি নেয়। সেই প্রস্তুতি হয়তো বা তারা এখন থেকেই শুরু করবে। আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে কোনো অস্ত্র, মাদক না আনতে পারে।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাখের আলী সীমান্তে ‘সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিবির মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়ন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ, বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাশেদ আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম।
গরুর সঙ্গে অস্ত্র চোরাচালান হয় উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘ভারতে বিপুলসংখ্যক গরু পালিত হয়। ওই সব গরু তাদের দিতেই হবে। গরু আসুক, এটা আমরাও চাই। যত পরিমাণে প্রয়োজন, তত পরিমাণই আসুক। কিন্তু ডিসিপ্লিন ওয়েতে আসতে হবে। কিন্তু আমি চাই আপনারা যাঁরা গরুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন, তাঁরা ডিসিপ্লিন ওয়েতে নিয়ে আসেন। করিডর একটির জায়গায় দুটি খুলব আমরা, কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু রাখাল যারা তাদের রেজিস্ট্রার করাতে হবে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সেই রাখালরা যাতে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গিয়ে হত্যার শিকার না হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই আপনাদের মাধ্যমে। আপনারা ব্যবসা করেন, গরু আনেন। আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু সেটা করিডরের মাধ্যমে নিয়ে আসবেন। শূন্য লাইনে গিয়ে আপনারা গরু নিয়ে আসেন। কিন্তু কোনো হত্যা হলে ওই করিডর আমরা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব। কারণ এই হত্যার সঙ্গে অস্ত্র এবং মাদকের সম্পৃক্ততা থাকে। এই ব্যাপারে আমরা খুব কঠোর। কোনো রাখাল বা কেউ যদি হত্যার শিকার হন, ওই ব্যবসা যিনি করছেন তিনি দায়ী থাকবেন, করিডরের যিনি ব্যবসায়ী তিনিও দায়ী থাকবেন, অন্যান্য রাখাল তাঁরাও দায়ী থাকবেন।’
বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে অস্ত্র, মাদক চোরাচালান ও নারী-শিশু পাচার বন্ধে প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় বিজিবি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।