পাহাড়ি ঢল ও সামুদ্রিক জোয়ারে ‘তলিয়ে গেছে’ কক্সবাজার

ভারি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও অমাবস্যার জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারে দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে জেলাটির নিম্নাঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চলে তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় জোয়ারের পানিতে দুই শতাধিক বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৩০টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজারের মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপদসীমার চার থেকে পাঁচ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অমাবস্যা তিথির কারণে বঙ্গোপসাগরে গত দুই দিন ধরে মৌসুমের সর্বোচ্চ জোয়ার হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপের উত্তরধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী জানান, দ্বীপের সব সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ নিচু এলাকা সাগরের পানির নিচে চলে গেছে। কুতুবদিয়া দ্বীপের অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম জানান, জোয়ারের পানিতে শাহপরীর দ্বীপের পাঁচটি গ্রামের অর্ধশতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাগরের নোনা পানি প্রবেশ করে এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।