নাফ নদীতে রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ, ১৭৫১ জনকে ফেরত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী থেকে রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্টে ভাসমান মরদেহটি পাওয়া যায়। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনউদ্দিন খান এ তথ্য জানান।
মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনাক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গত চার দিনে নাফ নদী থেকে ৫০ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এর আগে বুধবার চারজন, বৃহস্পতিবার ১৯ জন ও শুক্রবার ২৬ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
ওসি মাইনউদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্টে মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এ নারীর পরনে ছিল বার্মিজ পোশাক। এটি নাফ নদীতে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যাওয়া কোনো নারীর মৃতদেহ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেন ওসি।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে এক কবরস্থানে মৃতদেহটি দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে এক সঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনাক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল শুরু হয়।
কক্সবাজার ও বান্দরবানে নাফ নদী পেরিয়ে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়া অসহায় রোহিঙ্গাদের দিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের গুলি করার ঘটনাও ঘটেছে।
টেকনাফ সীমান্তে ১৭৫১ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত
টেকনাফের নাফ নদীর জলসীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ১ হাজার ৭৫১ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এসব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়। টেকনাফে বিজিবির ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে রোহিঙ্গারা অনুপবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা বাধা দিয়ে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠায়।