পাবনায় যাত্রী ওঠানো নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

পাবনার আমিনপুর থানাধীন কাজীরহাট ফেরিঘাটে যাত্রী ওঠানো নিয়ে লঞ্চ ও ট্রলার কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তুহিন শিকদার (৩২) বেড়া উপজেলার খানপুরা পাইকান্দি গ্রামের মৃত শহীদ শিকদারের ছেলে এবং ঘাটের টিকেট মাস্টার টুকু শিকদারের ভাই। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ঈদে যাত্রীর ভিড়ের কারণে লঞ্চ ও ট্রলারে যাত্রী ওঠানো নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয় উভয় জলযানের কর্মচারীদের মধ্যে। এ নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে কাজীরহাট ফেরিঘাটে লঞ্চ ও ট্রলার কর্মচারীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘাটের লঞ্চের টিকেট মাস্টার টুকু শিকদারের সঙ্গে ট্রলার কর্মচারীদের হাতাহাতি হয়। এ সময় তাঁর ছোট ভাই তুহিন শিকদার এগিয়ে আসেন। ট্রলার শ্রমিকরা তাঁকে পেটায় এবং ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তুহিনের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন সরকার জানান, নিহত তুহিন মারপিটে মারা গেছে নাকি স্ট্রোক করে মারা গেছে- তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, হত্যাকারীদের কাছ থেকে আমিনপুর থানা পুলিশ মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিচ্ছে এবং নিহতের পরিবারকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত তিন লক্ষাধিক টাকার দেন-দরবার হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আমিনপুর থানার ওসি বলেন, ‘আমরা ঘুষ খাই না।’