যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার, পুলিশের ওপর হামলা

হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ আটটি মামলার আসামি পাবনার ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঈশ্বরদী শহরের আমবাগান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় শফিকুলের লোকজন পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে ব্যারিকেড দেয়। এতে ঈশ্বরদী থানার একাধিক পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন বলে জানান ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু ওবায়েদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল নিয়ে পুলিশ আমবাগান এলাকায় মাদক বিক্রেতা ও মাদকাসক্তদের গ্রেপ্তার এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য যায়। এ সময় সেখানে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে শফিকুলকে ছিনিয়ে নিতে তাঁর লোকজন পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে ব্যারিকেড দেয়। এতে ঈশ্বরদী থানার একাধিক পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু ওবায়েদ জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় হত্যা, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদান সংক্রান্তসহ আটটি মামলার পলাতক আসামি শফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে পুলিশের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, রাস্তায় ব্যারিকেড, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিসহ তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। তাঁকে থানায় নিয়ে গেলে দলীয় তদবির ও ঝামেলা হতে পারে এই আশঙ্কায় পুলিশ বাধ্য হয়েই গ্রেপ্তারের পর ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি পাবনা জেলা কারাগারে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে।
পরিদর্শক আরো জানান, রোববার রাতে শফিকুলকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেছে।
পুলিশ জানায়, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি শহরের কলেজ রোডে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১ নম্বর আসামিসহ আটটি মামলার পলাতক আসামি শফিকুল।
দলীয় সূত্র জানায়, শফিকুল ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সহসভাপতি। পৌর যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী হিসেবে পৌর শহরে তাঁর ছবি সংবলিত অসংখ্য ফেস্টুন টানানো হয়েছে।