ফেনীতে বাসে পেট্রলবোমা : ১৮ জন কারাগারে

ফেনীর মহিপালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে পেট্রলবোমা হামলা ও বাসে আগুনের ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে অনেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে এই ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফেনী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন বাবুল, ফুলগাজী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেনসহ ১৩ জন। এর আগে গতকাল বুধবার এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়।
এই পাঁচজনের মধ্যে একজন আজ আদালতে জবাবনবন্দি দিয়েছেন। দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম জাকির হোসেনের আদালতে সদর থানার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নূরে সালাম মিলন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
দুদিনে আটক ১৮ জনের প্রত্যেককে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। তবে বিচারক জাকির হোসেন রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাঁদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এঁদের মধ্যে মাত্র তিনজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।
এ বিষয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, ঘটনাস্থল থেকেই পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে ১৩ জনকে আটক করা হয়। এই ১৮ জনের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ফের ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেনীর মহিপালের ফ্লাইওভার এলাকা অতিক্রম করার কয়েক মিনিট আগে সেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে বাস দুটি আগুন ধরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। এর আগেই বাস থেকে নেমে যান যাত্রীরা।
পেট্রলবোমা হামলা ও বাস পোড়ানোর মামলায় গতকাল বুধবার বিকেলে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।