জালে আটকা ২০ মণি ‘খটক’ মাছ

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় প্রতি কেজি এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে ২০ মণ ওজনের একটি খটক (স্থানীয় নাম) মাছ। কিছুদিন আগে বঙ্গোপসাগরের গভীরে জেলেদের জালে ধরা পড়ে মাছটি।
গতকাল শনিবার সকালে বাগেরহাটের শরণখোলা মৎস্য আড়তে বিশাল আকৃতির মাছটি আনা হয়। পরে মাছটি কেটে বিক্রি করা হয়। এ সময় সেখানে ভিড় জমায় শত শত মানুষ।
মাছটির মালিক মৎস্য ব্যবসায়ী মো. কবির জানান, খটক মাছটি প্রায় ২০ ফুট লম্বা ও ২০ মণ ওজনের। এক সপ্তাহ আগে গভীর সাগরে জেলেদের জালে খটক মাছটি ধরা পড়ে। এলাকায় এ মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় দুই লাখ টাকায় মাছটি খুলনার জেলেদের কাছ থেকে তিনি কেনেন। মাছটি কাটার আগে এলাকায় মাইকিং করা হয়। কেটে বর্জ্য ফেলে দেওয়ার পর প্রায় ১৪ মণ মাছ পাওয়া গেছে।
কবির আরো জানান, শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২০০ কেজির মতো বিক্রি হয়েছে। বাকি মাছ বিক্রির জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ মাছ বিক্রি হলে তিন লাখ টাকা লাভ হবে। মাছ কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনে বুকিং দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়দের ধারণামতে, সামুদ্রিক এই খটক মাছ খেলে দুরারোগ্য ক্যানসার, হৃদরোগ ও যক্ষ্মা ভালো হয়। মাছটি সচরাচর জালে ধরা পড়ে না। তাই এই মাছের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি।
তবে স্থানীয়দের এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা। শরণখোলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, এ মাছ খেলে ক্যানসার ভালো হয়, এমন কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে সামুদ্রিক এ মাছে প্রচুর খনিজ পদার্থ ও লবণ রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।