অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ৮ জন

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় মোট আটজন। এর মধ্যে চারজন সরাসরি অভিজিৎকে খুন করে। অন্যরা তদারকি বা পাহারায় ছিল।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে আসামি আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সোহেল ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন।
সোহেল জানান, তবে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
আজ ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে সোহেল ওরফে সাকিব জবানবন্দি দেন।
আদালতের পুলিশপ্রধান ও ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গ্রেপ্তার আসামি সোহেলকে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আহসান হাবীব আসামি সোহেলের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন। পরে সোহেলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার আবু সিদ্দিক সোহেল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ইন্টেলিজেন্স শাখার সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছে সিটিটিসি।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় লেখক অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন।
ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।