চট্টগ্রামে অটোরিকশাচালকদের মানববন্ধন

মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে অটোরিকশাচালকরা মানববন্ধন করছে। যান চলাচল বন্ধের চতুর্থ দিন আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। তা না হলে বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় অটোরিকশাচালকদের পক্ষ থেকে।
এদিকে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা থাকলেও চট্টগ্রামের মহাসড়কগুলোতে বন্ধ হয়নি তিন চাকার যান চলাচল। দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১ আগস্ট থেকে সরকার দেশের মহাসড়কগুলোতে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।
মানববন্ধন চলাকালে অবিলম্বে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দাবি না মানলে আগামী ৯ আগস্ট চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে সমাবেশ, জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি, ১৩ আগস্ট লালদীঘি ময়দানে সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা-টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা যদি এই রুটে গাড়ি চালাতে না পারি তাহলে আমাদের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমিকরা গত ১ আগস্ট থেকে না খেয়ে মরছে। মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য আলাদা রুট তৈরির জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলেমান বলেন, ‘আমরা ১৩ আগস্টের ধর্মঘট থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। সারা বাংলাদেশে অনন্ত ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষের পেশা নিয়ে যে তালবাহানা শুরু হয়েছে তা বন্ধ করতে হবে।’
এদিকে চালকদের কর্মসূচি চলাকালে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল আজম বলেন, চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কে সর্বোচ্চ সংখ্যক অটোরিকশাসহ তিন চাকার যান চলাচল করলেও পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল থাকায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারছে না পুলিশ। এ ছাড়াও গত ১ আগস্ট থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নানা সমস্যার কথাও জানান তিনি।