রোহিঙ্গা শিশুদের অপুষ্টি ও স্বাস্থ্যহানি থেকে রক্ষা করতে ‘নিউট্রিশন অ্যাকশন সপ্তাহ’ শুরু করেছে সরকার। গতকাল বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক কক্সবাজারে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মসূচি পরিদর্শন করেন।

কর্মসূচিতে শিশুদের ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিকও শিশুদের ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে ইতিমধ্যে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। তারমধ্যে প্রায় আড়াইলাখ শিশু রয়েছে। গর্ভবতী মায়েরাও আছে। বয়ষ্ক ব্যক্তি আছে। কয়েক হাজার এতিম আছে। যাদের বাবা মায়ের হদিস নেই।’

জাহিদ মালিক আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মানবতার খাতিরে থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যত ধরনের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব এ অবস্থায় আমরা দিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি জানান, রোগ শনাক্ত করা হচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনার সামগ্রীও দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের সুস্থ করে তুলতেও নানা কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। যত দিন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থাকে, তত দিন সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আন্তর্জাতিক মহলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের এই ভার বেশি দিন বহন করা সম্ভব হবে না।’