দুবলার চরে শুঁটকি উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কা

মৌসুম অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথমেই জেলেদের সাগরে যাওয়ার কথা। কিন্তু অক্টোবর থেকে চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত দুই দফায় বন্ধ ছিল মাছ ধরা। এ কারণে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুঁটকি উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলেরা। প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হওয়ার আশঙ্কা করছে বন বিভাগও।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শুরুতেই দুবলার চরে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে মাছ আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়। কিন্তু এ বছর অক্টোরের শেষ দিকে শুরু হয়েছে শুঁটকি মৌসুম। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় এ সময়ে মাছ ধরার অনুমতি দেয়নি বন বিভাগ। এরপর গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাসমেলা উপলক্ষে মাছ আহরণ ও শুঁটকীকরণ কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এসব কারণে দুবলার জেলেরা মাছ আহরণ ও শুঁটকি তৈরিতে বড় একটা সময় হারিয়েছেন। এতে শুঁটকির উৎপাদনও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলেরা।
এ ছাড়া মৌসুমের প্রথম ভাগেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না জেলেরা। জেলেরা কাছাকাছি থেকে যে যৎসামান্য মাছ শিকার করে আনছেন, তাও বৃষ্টিপাতের কারণে শুকাতে পারছেন না। তা ছাড়া বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় রয়েছে ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন। এরই মধ্যে দুবলার আলোরকোলের চাকলা থেকে ভারতীয় জেলেরা সাতক্ষীরা তালার ব্যবসায়ী রব বহদ্দারের মাছসহ তিনটি জাল কেটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে সামনের দিনগুলোতে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস না হলে রাজস্ব আদায়ের এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দুবলার ফরেস্ট রেঞ্জার কাজী মোকাম্মেল কবির।