বাগেরহাটের ভৈরব নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

বাগেরহাটের ভৈরব নদীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার বিকালে বাগেরহাট শহর সংলগ্ন ভৈরব নদীতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য নৌকাবাইচে বাগেরহাট ছাড়াও পিরোজপুর, খুলনা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১৬টি কোষা বাছাড়ী নৌকা অংশ নেয়।
আবহমান গ্রাম বাংলার অতি প্রাচীন কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও নিজস্বতা ধরে রাখতে লাখো প্রাণের আনন্দ উচ্ছ্বলতায় ভৈরব নদীতে মুনিগঞ্জ থেকে দড়াটানা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকা ও ট্রলারে করে নৌকাবাইচ দেখতে শিশু-মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবের আমেজে এ নৌকাবাইচ সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন বয়সের আমজনতার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরাও এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা প্রত্যক্ষ করেন।
এদিন দুপুর থেকে নানা বর্ণে ও বিচিত্র সাজে সজ্জিত দৃষ্টি নন্দন এসব নৌকা তুমুল বাইচ শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে একের পর এক বাইচ। ঠিকারী, কাশির বাদ্যে ও তালে জারি সারি গান গেয়ে এবং নেচে ‘হেঁইও হেঁইও’ রবে বৈঠার ছলাত-ছলাত শব্দে এক অনবদ্য আবহ সৃষ্টি হয়। দুকূলে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার-হাজার মানুষের হৃদয়ে জাগে দোলা। নদীর দু’ পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের করতালী ও হর্ষধ্বনিতে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
প্রতিযোগিতা শেষে ভৈরব নদী সংলগ্ন বাগেরহাট পৌরসভার রূপা চৌধুরী পৌর পার্কে সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন।
বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে নৌকা বাইচের পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, মীর শওকাত আলী বাদশা, হেপী বড়াল, সংসদ সদস্য শেখ ফজিলাননেছা অনন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনা রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দিদার আহমেদ, খুলনা র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, বঙ্গবন্ধু পরিবারের আত্মীয় ফরিদা আক্তার বানু লুচি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম।