স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গাজীপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ সোমবার গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর এই আদেশ দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া শিক্ষকের নাম মো. সোহেল খান (২৪)। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর দক্ষিণপাড়ায়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২ জুলাই দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী (৮) নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার মা-বাবার সঙ্গে ঘরের বাইরে বের হয়। সেই ফাঁকে সোহেল খান ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। পরে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সোহেল ওই ছাত্রীকে বাড়ির পাশের জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুর চিৎকার শুনে তার দাদা এগিয়ে গেলে সোহেল পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এর পর পুলিশ সোহেল খানকে গ্রেপ্তার করে।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াসিন আলী তদন্ত শেষে সোহেল খানকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় নয়জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ সোমবার দুপুরে আসামি সোহেল খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি শাহজাহান এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাসেল।