শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে যুদ্ধাবস্থার অবসান হয়েছে। বর্তমানে সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।

আজ শনিবার খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশে এখনো যুদ্ধ চলছে। আমাদের দেশ থেকেও সৈন্য যাচ্ছে। কিন্তু আমরা সবাই মিলে একটি সমঝোতায় আসতে পেরেছি। শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও হচ্ছে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।’

এর আগে সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম পুনর্মিলনী উৎসব শুরু হয়।

তারপর একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পৃথক পৃথক ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও তাদের সঙ্গে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। নেচে-গেয়ে হুল্লোড় করে শহরকে মাতিয়ে তোলেন তাঁরা। স্কুল মাঠ থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি পরে শহরের আদালত সড়ক, শাপলা চত্বর, চেঙ্গী স্কোয়ার হয়ে আবার হাই স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট উপহার দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

পরে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ ৬০ বছরের ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

বিকেলে র‌্যাফল ড্র, আতশবাজি প্রজ্বালন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুধীন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, শরণার্থী পুনর্বাসনবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান প্রমুখ।