সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নয়,  নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে।

আজ বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ির রামগড়ে নির্মিতব্য বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কাদের আরো বলেন, ‘বিএনপি কেন বার বার এই ব্ল্যাকমেইলিংটা করছে, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে এই কথা বলে যে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যে কমিশনের অধীনে কুমিল্লায় তারা জিতেছে, যে কমিশনের অধীনে আমরা রংপুরে জিতিনি।’

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন,  ফেনী নদীর ওপর রামগড়-সাবব্রুম হয়ে নির্মাণ হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুর কিছু জটিলতা এবং বিদ্যুৎ, পানিসহ ভারতের কিছু চাহিদা আছে। সেগুলো জানুয়ারির মধ্যে সমাধান করে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ বিভিন্ন সংযোগ প্রকল্পে একযোগে কাজ করছে। তার মধ্যে ফেনী নদীর ওপর প্রস্তাবিত সেতু তেমনি একটি প্রকল্প। এটি দক্ষিণ ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করবে।

এদিকে, রামগড়ের মহামুনী এলাকার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রি সেতু ১-এর স্থান পরিদর্শন করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহম্মদ খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন মিয়া ও রামগড় পৌর মেয়র মো. শাহাজানাহন রিপন।

জানা গেছে, ভারত সরকারের অর্থায়নে সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৪১২ মিটার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৯ সালের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। ২০১৫ সালের ৬ জুন ঢাকা সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেনী নদীর ওপর রামগড়-সাবরুম মৈত্রী সেতু ১-এর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।