মাকে আটকে মেয়েকে ধর্ষণ : মামলা তুলে নিতে হুমকি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকে আটকে রেখে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে আসামিরা টেলিফোনে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই মা এ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্বামী মারা যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন মা। মেয়ে স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। ৫ আগস্ট রাতে সাত খুন মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনের বোনের ছেলে ফয়সাল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে পরিবারটির ভাড়া বাসায় যায়। এ সময় মাকে মারধর করে মেয়েকে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় তুলে নিয়ে যায় ছোট ছেলেকে। পুলিশকে জানালে ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে যায় ফয়সাল ও তার দুই সহযোগী। পরে গত রোববার ছেলে পালিয়ে চলে আসে। এর পর থানায় গিয়ে মামলা করেন মা।
পরে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তবে এ পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেনি।
ঘটনার দিনের কথা বর্ণনা দিয়ে ওই মা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চুলের মুঠি ধইরা আমার দুই গালে দুই থাপ্পড় মারসে। কয়, আমি যা কই, তা শোন। তা আমি কই, কী শুনুম? কয়টা ছেলে দিয়ে আমারে এক রুমে টয়লেটে আটকায়ে রাখছে। আটকায় রাইখ্যা আমার মেয়েরে কয়, তর সাথে কথা আছে। আসামি তিনজন—ফয়সাল, রাসেল ও প্রান্ত।’
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহার হোসেন বলেন, ‘এক নম্বর আসামি ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরো দুই আসামি আছে। ওদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। অভিযোগ আছে, ভিকটিমের মাকে পাশের ঘরে রাইখা পরে তারা তাকে ধর্ষণ করছে।’