ধমক খেয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রাণটাই হারালেন নান্টু

বাগেরহাটের মোংলায় মাটি কাটার এক শ্রমিককে বাধ্য করা হয় মোটরের বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে। সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে শহরের শেহলাবুনিয়ার রাজ্জাকের মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত দিনমজুর হলেন মো. নান্টু মল্লিক (৩০)। তিনি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বেতবুনিয়া গ্রামের বালা মল্লিকের ছেলে। তাঁর রোমানা নামের সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, রাজ্জাকের মোড় এলাকায় মো. মিজানুর রহমান মিজানের বাড়িতে মাটি কাটার কাজ করে আসছিলেন নান্টু মল্লিক। সোমবার বিকেলেও মাটি কাটার কাজ করছিলেন তিনি। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন নান্টুকে পানি উঠানোর মোটরে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে বলেন। বৈদ্যুতিক কাজ জানেন না বললে, নান্টুকে ধমক দেন ওই বাড়ির লোকজন। ধমকের কারণে নান্টু বাধ্য হয়ে পানির মধ্যে থাকা মোটরে সংযোগ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সেন্ট পলস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় নান্টুকে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জীবিতেষ বিশ্বাস তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার অন্তত আধা ঘণ্টা আগেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট নান্টুর মৃত্যু হয়েছে।
নান্টুর স্বজনরা অভিযোগ করেন, নান্টু মাটি কাটার কাজ করতেন। ওই বাড়ির লোকজন তাঁকে দিয়ে জোর করে বিদ্যুতের কাজ করানোয় এ মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বৈদ্যুতিক কাজ করানোতেই নান্টুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন সহকর্মী শ্রমিকরা। এজন্য তাঁরা নিহতের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মিজান বলেন, ‘নান্টু মূলত মাটির কাজ করছিলেন। তাঁকে পানিতে থাকা মোটরের লাইন দিতে বললে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’