শেরপুরে শিশু আরাফাত ইসলাম রাহাতের অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ লোকজন।
 
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শহরে মানববন্ধন করেন বিপ্লব লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল, নবারুণ পাবলিক স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এতে সাধারণ লোকজনও অংশ নেয়। তারা রাহাত হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া তার আপন খালু আবদুল লতিফসহ অন্যদের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানায়। 

এরপর একই দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ‘আমরা শেরপুরবাসী’র ব্যানারে শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে আলোর মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শেরপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোক মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় এলাকাবাসীর সঙ্গে জেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
 
পুলিশ জানায়, গত ২ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে শেরপুরের পুরাতন গরুহাটি এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে বিপ্লব লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত ইসলাম রাহাত অপহৃত হয়। অপহরণের পর ওই দিন সন্ধ্যায় মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয় রাহাতের বাবার কাছে। এ সময় রাহাতের বাবা শহিদুল বিষয়টি পুলিশকে জানালে ৩ আগস্ট সোমবার দুপুরে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার সময় রবিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া রবিন জানান, রাহাতের আপন খালু আবদুল লতিফ এই অপহরণের পরিকল্পনা করেন। পুলিশ ৪ আগস্ট লতিফকে পাশের জামালপুর জেলার ফুলকার চর থেকে গ্রেপ্তার করে।
 
এরপর ৭ আগস্ট বিকেলে শেরপুরের মুন্সীর চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসলামকে। আসলামের দেওয়া তথ্যমতে, ৮ আগস্ট শনিবার দুপুরে শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কের গহিন জঙ্গল থেকে রাহাতের মাথার খুলিসহ দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।