যত্রতত্র মেডিকেল কলেজ নয় : প্রধানমন্ত্রী

যত্রতত্র মেডিকেল কলেজ স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢালাওভাবে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার অনুমতি দেওয়া হলে স্বাস্থ্য শিক্ষার মান পড়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
urgentPhoto
আজ শনিবার রাজধানীতে ‘শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিক-২০১৪’ পুরস্কার প্রদান ও ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের ই-লার্নিং কার্যক্রম’-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে জানান, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তাঁর উদ্যোগেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর শুধু রাজনৈতিক কারণে এসব ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য একটা ট্রাস্ট ফান্ড আমরা গঠন করব। সরকারের যে অনুদান সেটুকু সেখানে যাবে। আর স্থানীয় জনগণ যারা বিত্তশালী তাঁরা ওই ফান্ডে টাকা প্রদান করবেন। যাঁরা চিকিৎসা সেবা নেবেন সেখানেও অনেকেরই কিছু দান করার ক্ষমতা থাকে- তারাও সেখানে দান করবেন। সেই ফান্ড থেকেই এ ক্লিনিকগুলো পরিচালিত করা। এগুলো এ জন্য করা হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলেও যাতে এ ক্লিনিকগুলো বন্ধ করতে না পারে।’
বর্তমান সরকারের সময় উপযোগী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি বিভাগীয় সদর দপ্তরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।’
এর পর দেশের প্রতিটি বিভাগের শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক কাজ করছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ এসব ক্লিনিক থেকে সেবা গ্রহণ করেছে। এ ক্লিনিকগুলোর মধ্যে সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার জন্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।