দক্ষিণ উপকূলীয় মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আরো কর্মসূচি প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে চলতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আরো কর্মসূচি গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এসব কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত না হলে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা সহজ হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্টজনরা।
আজ রোববার সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা তুলে ধরেন আয়োজকরা। তাঁরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মান উন্নত শিক্ষা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ, বৃক্ষরোপণ, মৎস্য ও কৃষিসম্পদ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাতক্ষীরা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সুপ্রর কেন্দ্রীয় চেয়ারপারসন আহমেদ স্বপন, পরিচালক সুব্রত বাড়ৈ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, বেসরকারি সংস্থা স্বদেশের পরিচালক মাধব দত্ত, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, মো. আবু জাফর, জোসনা আরা, কলেজ শিক্ষক মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবন রক্ষা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, নদী খনন এবং যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক দুর্নীতি দূরীকরণ, জলবায়ু তহবিলের স্বচ্ছ ব্যবহার ও সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না গেলে দেশের দক্ষিণাঞ্চল পেছনে পড়ে থাকবে। এসব খাতে আরো বেশি অর্থ বরাদ্দেরও সুপারিশ করেন তাঁরা।
বক্তারা আরো বলেন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা রোধ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, মাদক রোধ, সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনসহ নানামুখী কর্মসূচি হাতে নেওয়া প্রয়োজন। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আলোকপাত করার ওপর জোর দেন তাঁরা।
পরিবর্তিত জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করে সুধীজনরা বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিজমিতে লবণপানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষের অশুভ প্রবণতা রোধ করা জরুরি।