জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বন্যায় জেলার ৬০ গ্রামের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বেড়ে আজ সোমবার সকালে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি বেড়ে যাওয়ায় ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার আরো ছয়টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে জেলার এই তিন উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বাড়িঘরে পানি উঠায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ ও খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের অভাব। বিভিন্ন সড়কে পানি উঠায় ইসলামপুরে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
বন্যায় তলিয়ে গেছে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি রোপা আমনক্ষেত। পানি ঢুকেছে শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। পানির প্রবল চাপে হুমকির মুখে পড়েছে ইসলামপুরের গুঠাইল হার্ডপয়েন্ট বাঁধ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুরের নির্বাহী প্রকৗশলী নবকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
এদিকে আজ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির জরুরি সভায় বন্যা পর্যবেক্ষণ কক্ষ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ৫৫ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সরিষাবাড়িতে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেড় লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।