ফুলবাড়ী চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি নয় বছরেও

২০০৬ সালের আজকের এই দিনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর নিমতলা। জাতীয় সম্পদ রক্ষার দাবিতে হাজার হাজার জনতা শামিল হয়েছিল আন্দোলনে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশ ও বিডিআর গুলি চালায়। নিহত হন আমিন, সালেকীন ও তরিকুল। আহত হন দুই শতাধিক আন্দোলনকারী। পরে ফুলবাড়ী চুক্তি সই করে বিক্ষোভ থামানো হয়। urgentPhoto
আজ বুধবার সকালে ফুলবাড়ীতে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় প্রাণ দেওয়া বীরদের স্মরণ করেন আন্দোলনের সহযোদ্ধারা। বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ ফুলবাড়ী এলাকার সর্বস্তরের মানুষ দিবসটি স্মরণে মিছিল করেছে। স্লোগানও ছিল ঠিক নয় বছর আগের মতোই- ‘স্থায়ী সম্পদ ধ্বংস করে ফুলবাড়ীতে কয়লা খনি চাই না।’ আরো ছিল, ‘আমিন, সালেকীন, তরিকুলের রক্ত বৃথা যেতে দিব না।’
ফুলবাড়ীতে নিহতদের স্মরণে নির্মিত সৌধে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। ওই সৌধে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তেল-গ্যাস- খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘২০০৬ সালে যারা জীবন দিয়েছিলেন সেই জীবন দেওয়ার বিনিময়ে ফুলবাড়ী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যার মূল কথা ছিল এশিয়া এনার্জির মতো একটা লুটেরা ও জালিয়াত কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে বিতাড়ন করতে হবে। জাতীয় সম্পদ নিয়ে জাতীয়ভাবে জনগণের সম্মতিতে পরিকল্পনা করতে হবে। যারা এগুলোর দালালি করেছে তাদের বিচার করতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি ২০০৬ সালে বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন, তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন ফুলবাড়ী চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু এ নয় বছরেও ফুলবাড়ী চুক্তির বাস্তবায়ন হয়নি। অবিলম্বে ফুলবাড়ী চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বড়পুকুরিয়াতে উন্মুক্ত খনির যে চক্রান্ত। সে চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে।’
রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তেল-গ্যাস- খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ফুলবাড়ী ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘রক্তদানের সঙ্গে আমরা বেঈমানি করব না। আমরা রক্তে লেখা অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দেশের চাহিদা, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করব।’