আবেগ আর প্রতীককে কাজে লাগিয়ে চলছে প্রচারণা

আর মাত্র ২০ দিন পর খুলনার সিটি করপোরেশন নির্বাচন।
এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা। কেউ দলের প্রতীক আবার কেউ ভোটারদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে চালাচ্ছেন প্রচারণা।
দলীয় প্রতীক নৌকা আর বিভিন্ন উন্নয়নকাজকে পুঁজি করে প্রচার চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। অন্যদিকে, বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে কেন্দ্র করে ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে।
এর মধ্যে আজ বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ৩১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি খুলনার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার অঙ্গীকার করেন।
আজ বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ৩১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। ছবি : এনটিভি
সকালে প্রচারণায় নেমে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশাল সাড়া, মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ। মানুষ বহুদিন পরে ধানের শীষে ভোট দেবে। বলে, আমরা এত দিন ভোট দিতে পারি নাই। ভোটকেন্দ্রে যাই নাই। এই নির্বাচনে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ। মানুষ উৎফুল্ল, যে আমরা ধানের শীষে ভোট দেবো। হ্যাঁ, তবে শঙ্কা আছে। মানুষ জিজ্ঞেস করছে, এবারের ভোট আমরা দিতে পারব কি না। ভোট ডাকাতি হবে কি না। এবং আমাদের দেওয়া ভোট সঠিকভাবে গণনা হবে কি না। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, যে আমরা রাজপথের সৈনিক, আমরা ভোটকেন্দ্রে থাকব। ভোট পাহারা দেবো দরকার হলে। জনগণের ব্যাপক আগ্রহ, বিএনপিকে এবার ভোটে নির্বাচিত করবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আটক, এটা তাদের ব্যথা দিয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন আরো জোরদার হবে।’
ভোট গ্রহণের সব আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী। তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। এখানে আমাদের শুক্র, শনি কোনো বন্ধের দিন নেই। এখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল এবং নির্বাচনী ব্যাংক মডিউল টিম গঠন করা হয়েছে।’
এই বছর খুলনা সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন পুরুষ ও দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ নারী ভোটার।
চতুর্থ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চেয়ে এবার নতুন ভোটার যোগ হয়েছে ৫২ হাজার। মেয়র পদে মোট পাঁচজন মেয়র প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেমন মেয়র চান? এমন প্রশ্নের জবাবে এক নারী বলেন, ‘আসলে মানুষের তো প্রত্যাশা হচ্ছে যিনিই নগর পিতা হবেন, তিনি যেন নগরের সাধারণ মানুষ যেন ভালো থাকে এবং তাঁদের সুযোগ-সুবিধাগুলো যেন ভালো হয়। যেমন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং রাস্তাঘাট দখল করে বালু, ইট, সিমেন্ট বিক্রি করে, ফুটপাতগুলো দখল হয়। এগুলো থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই। এইসব কাজ তাঁরা সততার সঙ্গে করবেন।’
এখন পর্যন্ত সব প্রার্থীকেই আচরণবিধির মেনে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড রোদও কোনো প্রার্থীকে কাহিল করতে পারছে না। ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে প্রচার-প্রচারণা।