বিএনপির প্রার্থী রোজ নাটক করছেন, বললেন খালেক

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রতিদিন নাটক করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।
খালেক বলেছেন, ‘রোজ রোজ নাটক করছেন;: সব দলের লোক আটক হচ্ছে। আর রাজনীতি করলে জেলে যেতে হয়। আমিও বিএনপি আমলে অপারেশন ক্লিনহার্টে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলাম।’
আগামী ১৫ মে খুলনায় সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে গতকাল একদিনে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করছেন বিএনপির প্রার্থী।
গতকাল পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযানের পরই আজ শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি সব হুমকি ও গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়েই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই প্রচারণাকেই নাটক বলে মন্তব্য করলেন তালুকদার আবদুল খালেক। একই সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের নয়, বরং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে বলে দাবি করেন তিনি।
খুলনাবাসী আবারও তাঁকেই নির্বাচিত করবে বলে খালেক আশাবাদ জানান।
নির্বাচনী প্রচারণায় খুলনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ছবি : এনটিভি
সকাল ৮টায় মিয়াপাড়ার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্থানীয় ২০ দলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে তিনি নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাডাঙ্গা হরিজন কলোনি দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তিনি সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘ভোট সামনে রেখে সরকারের দানবীয় চেহারা ফুটে উঠেছে। নির্বাচন সামনে তার এখন ভোটের জন্য দ্বারে দ্বারে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি গতকাল রাতে থানায় থানায় গিয়েছেন নেতাকর্মীদের দেখতে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। একদিকে ডিবি নামের আতঙ্ক, অন্যদিকে থানা পুলিশের ওসি সাহেব ডাকছেন। এসব নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।’
মঞ্জু বলেন, ‘১৫ মে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে সারা দেশের ১৬ কোটি লোকের মোট ৩২ কোটি চোখ এই নির্বাচনের দিকে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার দুটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে বলে জানানো হয়েছে। এ কেন্দ্র দুটি হচ্ছে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই ভোটকেন্দ্র।
এই কেন্দ্রগুলোতে ১৩-১৪ মে দুই দিন ইভিএম প্রদর্শন এবং ভোট প্রদানের প্রস্তুতি দেখানো হবে। সব মিলিয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় এখন নির্বাচনী আমেজ জমজমাট হয়ে উঠেছে।