হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দ্রুতগামী বাস ও সিএনজিচালিত  অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বর্ণা আক্তার (২৮) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই নারীর সাত বছর বয়সী সন্তানসহ আহত হয়েছেন তিনজন।

আজ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণা আক্তার বাহুবল উপজেলার হিলালপুর গ্রামের তমিজ আলীর স্ত্রী। তিনি তাঁর বাবার বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা থেকে সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফিরছিলেন।

বাহুবল মডেল থানার উপপরিদর্শবক (এসআই) মুক্তি সিনহা জানান, রোববার সন্ধ্যায় পানিউমদা বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাহুবলে যাচ্ছিল। পথে কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে সিলেটগামী দ্রুতগামী মিতালী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান স্বর্ণা। এ সময় আহত হন স্বর্ণা আক্তারের সাত বছর বয়সী সন্তান ওসমান গনি, বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া আক্তার (৩০), তার মেয়ে নাফিসা আক্তার (৭) ও নবীগঞ্জের পানিউমদা গ্রামের মৃত ছগির মিয়ার ছেলে রব্বান মিয়া (৪৬)।

এসআই মুক্তি আরো জানান, নিহত স্বর্ণা আক্তারের ছেলে আহত ওসমান গনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে যায়।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।