ব্লকরেইড দিয়ে মাঠ ফাঁকার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : মঞ্জু

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় ব্লকরেইড দিয়ে ভোটের মাঠ ফাঁকা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এই অভিযোগ করেন। গতকাল মধ্যরাতে এই সিটির ভোটের প্রচারকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার এ সিটিতে ভোট হবে।
এ পর্যন্ত প্রায় ১৩৭ জনের প্রেপ্তার হওয়ার কথাও বলেন বিএনপির প্রার্থী। এ গণগ্রেপ্তারের সংখ্যা আরো অনেক বলে দাবি করেন মঞ্জু।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রেই শুরু হবে জাল-জালিয়াতি এবং সিল মারার মহোৎসব। আজকে রাত ১২টা থেকে গ্রেপ্তার অভিযান আরো বাড়বে, সেই তথ্য আমরা পেয়েছি তাঁদের কাছ থেকে। আজকে রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যাকে ব্লকরেইড বলে, বিএনপি অধ্যুষিত বেশি ভোট ব্যাংক এলাকা সেখানে ব্লকরেইড দিয়ে আগামীকাল ভোট থেকে মাঠ ফাঁকা করার পরিকল্পনা তাঁদের আছে।’
‘প্রচুর কালো টাকা এসেছে, লুটের টাকা এসেছে- এগুলো….. মানুষের মধ্যে সিংহভাগ বিলি করা হয়েছে। সে তথ্যও আমরা পেয়েছি। সব মিলিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচনকে পক্ষে নেওয়ার তথ্যসহ আরো তথ্য….. আসবে বলে আমরা আশা করছি। সেই তথ্যগুলো আমরা আপনাদের কাছে জানিয়ে দেব।’
বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেন, ‘গণগ্রেপ্তার থামছেই না, এটি এখন আমাদের সহনীয় হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রথমদিন ৫৫ জন, তারপরে ২১ জন, তারপর পাঁচজন, তারপরে সাতজন, তারপর ২১ জন, তারপরে গতকাল রাতে ১৮ জন। এ ছাড়া শরিক দলের ১০ জন, সব মিলিয়ে আমার হিসেবে ১৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি।’
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের পার্টির মেম্বারশিপ যাদের নাই তাঁদের তো আমরা লিখি নাই, আপনারা জেলখানাতে গেলেই হিসাব পাবেন। গত এক সপ্তাহে ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জেলখানায় পাঠিয়েছে। পুলিশ গ্রেপ্তার বাণিজ্য করছে। আমাদের একজন দলের নেতা তাঁর শরীরে দুই ডজন টিউমার আছে। ঠিক…… চিকিৎসা ফেরত তাঁকে হাতকড়া লাগিয়ে, নেওয়ার সময় তাঁর সন্তানরা কান্নাকাটি করছিল, ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে বাড়িতে রেখে এসেছেন। এ রকম প্রচুর ঘটনা আছে। অর্থ দিয়ে পুলিশ বাণিজ্য করেছে এই খবর আমাদের কাছে আছে।’