‘আজ রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হবে’ মঞ্জুর শঙ্কা

আজ রাতটা পার হলেই খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর নির্বাচনের ঠিক আগের দিন নানা রকম শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা মহানগরের কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু শঙ্কার কথা জানান।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে ভোটের আগে সরকারের এমন দানবীয় চরিত্র দেখিনি। আজ দুপুর থেকে পুলিশের আটক বাণিজ্য আবার শুরু হবে। পুলিশ সমাবেশে পুলিশ কমিশনার, পুলিশদের নৌকায় সিল মারার কথা বলেছেন বলে শুনেছি। আজ রাতে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মারা হবে এবং ভোটের দিন তারা নিজেরা নিজেরাই মারামারি করে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দিবে।’
নজরুল ইসলাম মঞ্জু আরো বলেন, ‘খুলনা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের সরাসরি হস্তক্ষেপে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এই সময় বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম মনাসহ স্থানীয় ২০ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাননি। দলের চেয়ারপারসন, ভাইস চেয়ারম্যানসহ দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে কি না, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি এই তিনটি দাবি নিয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’
এদিকে, মঞ্জু ও আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক একে অপরের বিরুদ্ধে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করার অভিযোগ করেছেন। দুপুর ১টায় খুলনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে খালেক সংবাদ সম্মেলন করেন।
খুলনায় সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। ছবি : স্টার মেইল
খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘বিএনপি ২০১৩ সালে ইলেকশন ইঞ্জনিয়ারিং করে আমাকে হারিয়েছিল। এবারও তারা একই ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং পরিকল্পনা করেছে। নজরুল ইসলাম মঞ্জু নৌকা মার্কার ব্যাচ তৈরি করেছে। তারা কাল সেগুলো ব্যবহার করে ধানের শীষে সিল মারবে। আওয়ামী লীগ ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিশ্বাস করে না। পাঁচ বছর মেয়র থাকার সময় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি।’ তিনি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ভোটারদের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান।
তালুকদার আবদুল খালেক আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি মেয়র পদপ্রার্থী হতে চাইনি। কারণ আমি মোংলা-রামপাল আসনের এমপি। সেই এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবার মেয়র পদপ্রার্থী হয়েছি। বাকি জীবন খুলনাবাসীর উন্নয়নের জন্য জীবন কাটাতে চাই।’
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী এস এম কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগসহ স্থানীয় ১৪ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।