পরিচয়পত্র নেই, তাই এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি : ইসি

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর কোনো পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তবে পরিচয়পত্র না থাকায় কয়েকজন এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন মনিটরিং সেল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ কথা বলেন।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘যে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, তারা পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি বলে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর বের করে দেওয়া হয়েছে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাদের কাছে নেই।’
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, ‘বিএনপির অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়। এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে- এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। আর যাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি তারা তাদের পরিচয়পপত্র দেখাতে পারেনি। তারা এজেন্ট কি না সেটাও দেখার বিষয়। পরিচয়পত্র না থাকলে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয় না।’ দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘একটি কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইসির মনিটরিং সেল থেকে জানা যায়, ২২২ নম্বর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।’
এদিকে, এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ তুলেছেন যে, মাত্র একটি কেন্দ্র থেকে নয়, ৪০টি কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়েছে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা। এসব কেন্দ্রে ভোটারদেরও ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে এসব কেন্দ্রে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছে।’
তবে খুলনায় নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলেই দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘খুলনায় সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে বলেই খবর পাচ্ছি। এখানে জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে। আমি বিএনপিকেও একই আহ্বান জানাব।’