রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে ও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে বিশ্বকাপে প্ল্যাকার্ড বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বকাপ ফুটবলে নাইজেরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা খেলোয়াড় এমেকা ইউজিগো। কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই কথা বলেন তিনি।

এ সময় এমেকা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল গঠনের জন্য নাইজেরিয়া ও ইতালি ফুটবলদল বাংলাদেশে আসবে। এরপর বাংলাদেশে জাতীয় দলের সঙ্গে এই দুটি ফুটবল দল তিনটি স্থানে প্রীতি ম্যাচ খেলবে। একইভাবে ভারতেও খেলা হবে। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হবে।’

কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থীদের সঙ্গে বিকেলে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলেন এমেকা। ওই খেলা ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ হয়। এরপর খেলোয়াড়দের মধ্যে পদক, জার্সি, ফুটবলসহ ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন নাইজেরিয়ার এই ফুটবলার। এর আগে এমেকা শরণার্থী ক্যাম্প ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় এমেকার সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ল্ড ফুটবলার্স ফোরামের আহ্বায়ক ড. আবদুল ওয়াদুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মো. কায়সার হামিদ, আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক চুন্নু, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার হাসান, আলমগীর, ইমতিয়াজ পারভেজ, ইমরানসহ সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

বিশ্বকাপ ফুটবলের তারকা খেলোয়াড় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসেন। তিনি গত সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকার হাতিরপুলে পিকামলি সেন্টার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব যান। এরপর এমেকা আজ দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে প্রথমে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি ছুটে যান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছর আগস্ট মাসে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সরকারি হিসাবে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা নয় লাখেরও বেশি। কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য করা হয়েছে একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র।