শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁসের আগেই ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ১০

বরিশালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ও দেড় লাখ টাকা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে এসব অভিযান চালানো হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাপ্পি ও তাঁর সহযোগী মো. শহিদুল ইসলাম সোহেল (৩৫), ফাতেমা বেগম (২৯), নাজমিন নাহার মনি (২৭), এলিনা বেগম রুপা (২৬), মো. আনোয়ার হোসেন ফকির (৩৯), মো. আহসান হাবিব হাওলাদার (৩৫), মো. জহির উদ্দিন জুয়েল (৩৫), জায়েদা খাতুন (৩০) ও মো. বাদল ব্যাপারি (৩৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ শনিবার দুপুরে বরিশালের কোতয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে বরিশালের গির্জা মহল্লার আবাসিক হোটেল ইম্পেরিয়ালে অভিযান চালানো হয়। হোটেলের ৪০৬ নম্বর কক্ষ থেকে প্রথমে মো. শহিদুল ইসলাম সোহেলকে আটক করা হয়। পাশাপাশি ওই সময় হোটেল থেকে পরীক্ষার্থী ও তাঁদের স্বজনসহ আরো ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ শনিবার ভোরে নগরীর সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন নিউ সার্কুলার রোডের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে রেজাউল করিম বাপ্পিসহ আরো দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
এদিকে আজ কোতোয়ালি মডেল থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বরিশাল মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘দশজনকে আটকের পর প্রতারক চক্রের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা, তিনটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও আটটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এরা মূলত বরিশালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর বলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। রেজাউল ইসলাম বাপ্পিসহ দালালরা মিলে ১০ জনের এই টিমটি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।’
অভিযানে নেতৃত্বে থাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) গোলাম রউফ খান বলেন, ‘আটক ১০ জনের মধ্যে চারজন বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রক্সি দিতেন। আর বাকিরা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্লু টুথের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর বলে দিতেন।’