‘অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের নয় সরকারের হয়ে কাজ করছেন’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা,কিন্তু গত দশ বছর রাষ্ট্রের নয়,সরকারের হয়ে কাজ করছেন। সরকার খালেদা জিয়াকে নিয়ে কী ষড়যন্ত্র করছে, সেটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।’
আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ও আইনগত অধিকার পাওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। রাজনৈতিক উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। এখনই তিনি মুক্তি পেলে আগামী ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাল্লাহ!’
মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘এছাড়া নাশকতার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনকে জামিন না দিয়ে কুমিল্লার বিচারক ও নড়াইলের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট অব কন্ডাক্ট (আচরণ বিধি) ভঙ্গ করেছেন।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘আপনি এই সমস্ত বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কুমিল্লার মামলায় বিচারকরা খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে প্রফেশনের মিস কন্ডাক্ট করেছেন।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন খালেদা জিয়া মাইল্ড স্ট্রোক করেননি এমন বক্তব্য সাংবাদিকরা নজরে আনলে খোকন বলেন,’অ্যাটর্নি জেনারেল তো ডাক্তার না,উকিল। এ কথা জানাবেন কারা কর্তৃপক্ষ, অ্যাটর্নি জেনারেল কেন?’
খোকন বলেন, ‘গত ৫ জুন মাইল্ডস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। সম্প্রতি জেল কর্তৃপক্ষ চারজন ডাক্তারকে কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁকে দেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়ার ফলে তা গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরই তাঁর মাইল্ডস্ট্রোক সম্পর্কে আমরা অবগত হই। তাৎক্ষণিক তাঁর কোন চিকিৎসা করা হয়নি। এখনো ভালো কোন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে না। সমগ্র জাতি তার এই অসুস্থতার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছে। গত ১৬ মে আপিল বিভাগ জামিন বহাল রাখলেও সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আজ পর্যন্ত তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারেননি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল,বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ সভাপতি এবিএম ওয়ালিউর রহমান, রবিউল করিম,মোস্তফা কামাল, কামরুল ইসলাম সজল, রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা, মির্জা আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান ও একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।