‘বৈদেশিক সাহায্য ভালোভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/06/11/photo-1528720526.jpg)
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘এবার বৈদেশিক সাহায্য বেশ ভালভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে। সরকার সেখান থেকে ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চেয়েছিল, খরচ করেছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।’
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। সংসদে সম্পূরক বাজেটের উপর সমাপনী বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগের জন্য সংসদ সরকারকে যে ক্ষমতা দিয়েছে সেটা যতদুর সম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের সম্পূরক বাজেটে যে পরিবর্তন করা হয়েছে তা খুবই সামান্য।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এবারের সম্পূরক বাজেটের একটি ভাল দিক হলো, যদিও বাজেট বাস্তবায়ন যথেষ্ট কম হয়েছে, কিন্ত গত কয়েক বছরে সরকার বৈদেশিক সাহায্যের যে পাহাড় গড়ে তুলেছে, সেই পাহাড়ে এবার কিছুটা ধস নেমেছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘সম্পূরক বাজেট যেভাবে পাস করা হয়, তা সংবিধান সম্মত। সংবিধান আমাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে।’
২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সম্পূরক বাজেটে যে পরিবর্তন ও সংযোজন হয়েছে তা বাস্তব সম্মত। বাজেটের যে লক্ষ্য ছিল তা অর্জিত হয়েছে।’
ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের লুটপাট হচ্ছে বলে বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে কিছু অনিয়ম হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকার বসে নেই, বেসিক ব্যাংক ও ফারমার্স ব্যাংকের অনিয়মে জড়িত ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাত একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। ইসলামী ব্যাংককে এগ্রেসিভ ঋণ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে এবং তাদের বলা হয়েছে, ‘আমরা আরেকটি বেসিক ব্যাংক দেখতে চাইনা’।
জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ‘বাজেটে ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ রাখা এবং আড়াই শতাংশ কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, এটা ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য আরো বেড়ে যাবে।’ ব্যাংকিং খাতকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অর্থনীতিতে ধস নামবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।