রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/06/12/photo-1528813421.jpg)
কক্সবাজারের স্থানীয় ৩৩ হাজার ৫০০ পরিবারকে ঈদ সামগ্রী ও নগদ টাকা উপহার পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এসব উপহার নিয়ে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
উখিয়া উপজেলার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের মাঠে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় যেসব দুস্থ, গরিব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধু তাদের জন্যেই এই ঈদ উপহার।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আগত এই বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের এই কক্সবাজারে বিশেষ করে উখিয়ায়, তাদের স্থান দেওয়ার জন্য, যে ত্যাগ শিকার করেছেন উখিয়ার মানুষ, সেদিকে স্মরণ রেখে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেই কিন্তু তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা), এখানকার যারা দুস্থ মানুষ, কষ্ট শিকার করে তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন টাকা দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন, বাসস্থান দিয়েছেন গাছপালা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। তারা যেন কষ্টে না থাকে, তারা যেন সুন্দরভাবে আমাদের সবার সাথে একত্র হয়ে যেন ঈদ করতে পারে, তাদের জন্যে এই ঈদ শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। এই ঈদ উপহারটা শুধু ৩৩ হাজার ৫০০ পরিবার যারা একদম দুস্থ গরিব, তাদের হয়ত ঈদে হাতে টাকা নেই, ঈদ করতে পারবেন না, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তাঁর এই পরিকল্পনা।’
এর পরিবারগুলোর প্রত্যেকটিকে দুই হাজার টাকা ও ছয় কেজি ঈদ সামগ্রী করে দেওয়া হয়েছে। ৩৩ হাজার ৫০০ পরিবারের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
দেশে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ধসের বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘গত ছয় দিনে আপনার প্রায় পাঁচশ থেকে ছয়শ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে গেছে। আগামী দুই দিনেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে শুনতে পাচ্ছি। এ বছরে কিন্তু অত্যন্ত বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জন্য কক্সবাজারের চারটি জেলাসহ সারা বাংলাদেশের যেসব জায়গায় পাহাড়েধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, প্রত্যেককে আমরা নির্দেশ করেছি, যে কোনো মতেই যেনে আর পাহাড়ধসে মানুষের ক্ষতি না হয়, জানমালের ক্ষতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসক, প্রত্যেক জেলার তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। পুলিশ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমাদের পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সজাগ, ফায়ার সার্ভিস অত্যন্ত সজাগ। স্কাউট থেকে শুরু করে সবাইকে আমরা মাঠে নামিয়ে দিয়েছি।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম আজদ।