ঘর থেকে ফ্রিজ নামানোর পর পৌরকর পরিশোধ!

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা খেলাপি পৌর করদাতাদের বিরুদ্ধে ক্রোকি অভিযান শুরু করেছে। প্রথম দিনে আজ বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪২টি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে এই অভিযান চলে।
পুলিশের সহযোগিতায় মোট তিন লাখ ৩৬ হাজার ৯৯৮ টাকা আদায় হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবারও অভিযান চলবে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরামুল হক মুক্তার নেতৃত্বে ক্রোকি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান সমন্বয় করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উচ্চমান সহকারী মোয়াজ্জেম হোসেন।
একরামুল হক মুক্তা প্রথম দিনের অভিযান প্রসঙ্গে জানান, ৩৩ বছর ধরে একজন নাগরিক কর বকেয়া রেখেছিলেন। অভিযান চলাকালে তিনি বকেয়া পরিশোধ করেছেন। এ ছাড়া হাজরাহাটিতে এক বাড়িতে বকেয়া আদায় করতে গেলে গৃহকর্তা বলেন, ‘পৌরকর দেব না, যা পারেন করেন।’ তখন ঘর থেকে ফ্রিজ নামানো হলে গৃহকর্ত্রী নিজে এসে বকেয়া পৌরকর পরিশোধ করেন।
প্যানেল মেয়র বলেন, ‘পৌরবাসী বকেয়া কর আদায়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের যে সহযোগিতা করেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ । আগামীতে সব ভালো কাজে পৌরবাসীর সহযোগিতা চাই।’
পৌরসভা সূত্র জানায়, চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর পর্যন্ত পৌরসভার মোট পৌরকর পাওনা তিন কোটি ৫৫ লাখ আট হাজার ৯১৬ টাকা। বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া পড়ে থাকায় পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। আবার লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ পৌরকর আদায়ে দাতা সংস্থাগুলো শর্তারোপ করেছে।
পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম জানান, ১২ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত পৌরকর আদায়ে ১৫ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ দেওয়া হয়। ২৫ জুন পর্যন্ত মোট দাবির বিপরীতে দুই কোটি ৬৮ লাখ ৯৬ হাজার ৪০৪ টাকা আদায় হয়। এরপর বকেয়া আদায়ে ২৭ ও ২৮ জুন খেলাপি করদাতাদের মালামাল ক্রোক করে নিলামে বিক্রির মাধ্যমে পৌরকর আদায়ে ‘ক্রোকি অভিযান’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় পৌর পরিষদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্সী রেজাউল করিম খোকন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজরিন পারভীন মলি, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হোসেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি এবং সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবিনা পারভীন, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুলতান আরা বেগম এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেফালী বেগম। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে সহযোগিতা করেন।