কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমছে, দুর্ভোগ কমেনি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/09/photo-1441795684.jpg)
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এর ফলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনো দুর্ভোগ কমেনি পাঁচ লাখ বানভাসি মানুষের। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গবাদি পশু নিয়ে বাঁধে ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া মানুষ এখনো বাড়ি ফিরতে পারেনি। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের ৩০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চরবাগুয়ার বাসিন্দা মজিদ বলেন, ‘গত ১০-১২ দিন ধরে পানির ওপর ভাসতেছি। কোনো সাহায্য পাই নাই। ধার-দেনা করে চলতেছি। একবেলা রান্না করে তিন বেলা খেয়ে কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন পার করছি। পানি এখনো বাড়ি থেকে নামে নাই।’
সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বাতেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার মানুষের মধ্যে আট হাজার মানুষ পানিবন্দি। আগে চার টন এবং আজ বুধবার চার টন মিলে এ পর্যন্ত আট টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। আগে যাদের দেওয়া হয় নাই, তাদের এখন চাল দেওয়া হবে। পানি নামতে শুরু করেছে। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যাবে।’
জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি ভাবে ৩০০ টন চাল ও ১০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫০০ টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিতরণ০ করা হবে।’
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘বন্যাকবলিত মানুষের জন্য আরো প্রচুর ত্রাণ সহায়তা দরকার হবে। এ জন্য আমি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথে কথা বলেছি। বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য যত ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন হবে তিনি তা দিতে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। এ ছাড়া বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও কৃষি পুনর্বাসনের জন্য আমি জাতীয় সংসদে কথা বলব।’