মাত্র ছয়দিন পর কক্সবাজারে পৌরসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে তাদের এলাকাছাড়া করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল একটা নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, নেতাকর্মীদের এইভাবে ভোটকেন্দ্রে না যেতে দেওয়ার যে প্রস্তুতি তারা করতেছে। তারপরে বিভিন্ন জায়গায় হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। বাসাবাড়িতে গিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যাতে আমাদের কেন্দ্রে আমাদের নির্বাচনী এজেন্ট থাকতে না পারে। আমরা যদি নির্বাচনী এজেন্ট না দিতে পারি, তাহলে তারা ভোট ডাকাতির একটা মহোৎসব করতে পারে। আমরা সন্ধিহান, এমনকি আমাদের বাসাবাড়িতেও ডিবি পরিচয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে হলে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা চাই, প্রশাসন এবং সরকারের কাছে এই কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য।’

রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ৫৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থীর অভিযোগ, এই মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকা ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে জানান, কক্সাবাজারে বিএনপি এককভাবে নির্বাচন করছে। জামায়াত তাদের মতো আলাদা করে নির্বাচন করছে। নেতাকর্মীদের আসামি করে নাশকতার এসব মামলাকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায় হিসেবে তারা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আরা স্বপ্না প্রমুখ।

গতকাল বুধবার কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ার ছড়ায় যানবাহন চলাচলে বাধা ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে কক্সবাজার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল কবির।