চারদিনেও উদ্ধার হয়নি ফেরি টাপলু

চারদিনেও শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ডুবোচরে অটকেপড়া ফেরি টাপলু উদ্ধার হয়নি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই শতাধিক যাত্রীসহ ১৮টি যানবাহন নিয়ে আটকে পড়ে টাপলু।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমেদ আলী জানান, ওইদিন রাত থেকেই ফ্ল্যাট ফেরি টাপলুকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আটটি ট্যাগ বোট অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। সবচেয়ে শক্তিশালী শৈবাল ট্যাগ বোট সেটি এখন নিজেই উদ্ধারের অপেক্ষায়। গতকাল শুক্রবার রাতে এই উদ্ধারকারী ট্যাগ বোটটি লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মাথায় ডুবোচরে আটকা পড়েছে। এখানে পানির গভীরতা চার ফুট। সঙ্গে শ্রোতের তীব্রতা।
আহমেদ আলী জানান, গতকাল শুক্রবার নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উদ্ধারের কাজ তদারকি করেছেন। তিনি বলেন, তিনটি দূরপাল্লার বাস, সাতটি মাল বোঝাই ট্রাক, আটটি ছোট ও মাঝারি ধরনের পরিবহন নিয়ে টাপলু আটকে পড়ার পর সব যাত্রী চলে গেছে। শুধু গাড়িগুলোর সঙ্গে চালকরা রয়েছেন। আমাদের ক্যান্টিনে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি।’
ফেরির ট্যাগ বোট-চালক মো. শাহ উদ্দিন জানান, টানা (ডাম্প) ফেরি টাপলু ট্যাগবোট ৮৩৮৯ দিয়ে চলাচল করে। তীব্র শ্রোতের মধ্যে পড়ে ডুবোচরে আটকে গেছে ফেরিটি।
ফেরিতে আটক প্রাইভেটকার-চালক বলেন,‘চারজন যাত্রী ছিল। গত বুধবার সকালে স্পিড বোটে করে চলে গেছে। আমি গাড়ির সঙ্গে ফেরিতে আটকা পড়েছি। বিআইডব্লিউটিসির ক্যান্টিনে খাই। আজ চারদিন ধরে এক কাপড়ে আছি।’
ট্রাক-চালক মনজু মিয়া বলেন,‘কিছু দিন আগেই ঘাটে চারদিন আটকা ছিলাম। এখন নদীর মাঝে ফেরিতে চার দিন ধরে আটকা আছি। আনেক লোকসান হইতেছে। কবে যে রাস্তায় উঠমু। ঈদের আগে ট্রাক চালাইতে পারলে কয়ডা টাকা পাইতাম।’