খুলনায় বাস চলাচল আজও বন্ধ

নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আজও খুলনা থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাস চলাচল করেনি।
অন্যদিকে, সড়ক দুর্ঘটনা আইন শিথিলের দাবিতে আজ রোববার সকাল থেকে খুলনায় ট্যাঙ্কলরি শ্রমিকরা ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ আবদুল গাফফার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা মেঘনা যমুনা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির যৌথ সভায় ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে আইন শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া না হলে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তাঁরা দবি করেন, অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, ভাঙাচোরা অবস্থা দায়ী। আর পথচারীদের অসতর্কতার জন্যও দুর্ঘটনা ঘটে।
ফলে আজ সকাল থেকে খুলনার ডিপো হতে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে খুলনা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়ছে না। গতকাল দুপুরে বাস টার্মিনালে শ্রমিকরা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এর পর থেকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোয় বাস চলাচল একেবারেই কমে যায়। এমনকি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের উদ্যোগে আন্তজেলা বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।