গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার অন্যতম শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেল সাড়ে ৫টায় ড. কামাল হোসেনের বাসায় যান জোনায়েদ সাকি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর সংগঠনের পাঁচ সদস্য। ড. কামাল হোসেনের স্ত্রী হামিদা হোসেন তাঁদের স্বাগত জানান। এরপর জোনায়েদ সাকি একান্তে বৈঠক করতে ড. কামাল হোসেনের আরেকটি কক্ষে যান। বাকি নেতারা বৈঠককক্ষে অপেক্ষাধীন ছিলেন। প্রায় ২০ মিনিট আলোচনা করার পর দুই নেতা বৈঠককক্ষে যান।

বৈঠকশেষে জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আমরা বলেছি, যে একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে। যার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হতে পারে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘একটা জাতীয় কনশাসনেস দরকার সরকারি দলের সাথেও। কেননা, সরকারি দল ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য হবে না। এই ন্যাশনাল কনশাসনেস তৈরি করতে আমাদের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ আছে, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার তরফেও আছে।’

সাকি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকেও একটি সনদ তৈরি করেছি। বিদ্যমান যে রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে আমরা আছি, সেই ব্যবস্থা ফেল করে যাচ্ছে। এটা সংঘাত ছাড়া নতুন কিছু দিতে পারছে না আমাদের নতুন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যেতে হবে। কতগুলো নতুন শর্তে আমাদের যেতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব।’

সাকি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। সেদিক থেকে আমরা মনে ঐক্যবদ্ধ কাজের অনেক জায়গা আছে। সে ঐক্যবদ্ধ কাজগুলো কীভাবে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয় নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটে আলোচনা করা হবে। জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলবে। কীভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের নিরাপত্তা, মানুষের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রাম গড়ে তুলতে পারি, সে বিষয়ে কাজ করতে হবে।’

ড. কামাল হোসেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন বলে জানান জোনায়েদ সাকি।

গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু, আবুল হাসান রুবেলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।