দেশে লবণ মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের দেশে লবণের ঘাটতি নেই। কিন্তু অতি মুনাফাভোগী কিছু লবণ মিলমালিক বেশি লাভের আশায় লবণ মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে সরকারকে অন্য দেশ থেকে লবণ আমদানি করতে হচ্ছে। এতে করে লবণচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের বিয়াম ফাউন্ডেশন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) আয়োজিত ‘মানসম্পন্ন আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন : অংশীজন’ কর্মশালায় এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।

আমির হোসেন আমু উপস্থিত লবণ মিলমালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানি করা না-করা আপনাদের ওপর নির্ভর করছে। আপনারা যদি লবণ মজুদ না করেন, তাহলে অন্য দেশ থেকে লবণ আমদানি করার প্রয়োজন নেই।’

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শুধু লবণ শিল্প নয়, পর্যটন শিল্পের প্রতিও ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। এ কারণে পর্যটন শিল্প বিকাশে কক্সবাজারেও বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশ অনেক উচ্চ স্থানে চলে যাবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য দেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, শিল্প মন্ত্রালয়ের সচিব মো. আবদুল হালিম, বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

কর্মশালায় কক্সবাজার জেলার দুই শতাধিক লবণচাষি উপস্থিত ছিলেন। এতে জেলার উপকূলীয় এলাকার ৬০ হাজার একর জমিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ লবণচাষির মধ্যে মানসম্পন্ন আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদনের ওপর সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান বক্তারা।